সেলিম মাহমুদ,স্টার্ফ রিপোর্টারঃ মেহেরপুর শহরে সল্প সময়ের ভিতর আলোচিত “হোটেল আটলান্টিকা” দীর্ঘ দিন যাপত একটি সুনামধন্য রেস্টুরেন্ট হিসেবেই জনপ্রিয়। তবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও ব্লাকমেইল করে অর্থ আদায়ের ও অনৈতিক কার্যকলাপের দায়ে আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) ভোররাতে সদর থানা পুলিশের একটি টিম মেহেরপুর শহরের “হোটেল আটলান্টিকায়” অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মেহেরপুর শহরের শিশুবাগান পাড়ার মৃতু কিয়ামুদ্দীনের ছেলে হোটেল আটলান্টিকার মালিক মতিয়ার রহমান (৫২) তার ছেলে মামুন (৩০) ও সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী ছন্দা খাতুন(৩০)।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্ত অফিসার মেজবাহ উদ্দীন আহমেদসহ সঙ্গীয় ফোর্স হোটেলটিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি নারী চক্র গড়ে তুলে মেহেরপুর শহরের আভিজাত শ্রেনীর হোটেল আটলান্টিকার মালিক মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে মামুন বিভিন্ন ব্যবসায়ী সরকারি কর্মকর্তা বা অভিজাত শ্রেনীর মানুষকে সুন্দরী নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এই চক্রে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০-১২জন সুন্দরী নারী রয়েছে। চক্রের নারী সদস্যরা বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে হোটেল আটলান্টিকায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও নিয়ে শুরু হয় ব্লাক মেইল ও মোটা অংকের চাঁদাবাজী।
সাম্প্রতিক সময়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মনোয়ার হোসেন নামের এক এনজিও কর্মীর সদর থানায় নারী চক্রের প্রধান হোতো প্রিয়া খানকে আসামি করে প্যানাল কোড ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারায় একটি মামলা করেন (মামলা নং ৩২, তারিখ ২২/১১/২০২২ইং)। মামলা দেওয়া্র পর পুলিশ বিভাগ নড়ে চড়ে বসেন। শুরু হয় গোপন তথ্য সংগ্রহ।
গত ২২ নভেম্বর ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মূল হোতা নাজনীন খান প্রিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রিয়া খানকে গ্রেফতারের পর তাকে ২ দিনের রিমান্ড নিলে বেরিয়ে আসে এই চক্রের ভয়ংকর তথ্য।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছেন, নাজনীন খান প্রিয়ার দলে ৯ জন সুন্দরী নারী আছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে পুরুষদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে আসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। ইতোমধ্যে তাদের ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হয়েছেন সমাজের কয়েক শত ব্যবসায়ী, সরকারি চাকুরিজীবিসহ ধনাঢ্য ব্যক্তি।