সেলিম মাহমুদ, কাথুলী:
গাংনীর কাথুলি ইউনিয়ন এর গাড়াবাড়ীয়া থেকে হিতিমপাড়া চলাচলের একমাত্র অবলম্বণ ছিল ভৈরব নদীর উপর গাড়াবাড়িয়ার সাঁকো যা এখন পানির নিচে ডুবন্ত। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চার গ্রামের জনগণ। গাড়াবাড়ীয়া, হিতিমপাড়া, ভিটিরমাঠ ও রামদাসপুর গ্রামের জনগনের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন ছিলো গাড়াবাড়ীয়া-হিতিমপাড়ার সাঁকো। ভারি বর্ষনের ফলে নদীতে তলিয়ে গেছে সাঁকোটি।
নদীর ওপারে গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের অনেক কৃষকের আবাদি জমি রয়েছে। কিন্তু পানির কারণে সাঁকো ডুবে যাওয়ায় চাষীরা সেখানে যেতে পারছেন না। হিতিমপাড়া গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন গাড়াবাড়ীয়া আসে হাট-বাজার সহ বিভিন্ন কাজে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনে গ্রামগুলোর মধ্যে যাতায়াতের জন্য অন্য কোন পথ নাই। যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন পানিতে তলিয়ে যাওয়াতে সাধারন জনগন এখন নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সাঁকোটির উপকারভোগীদের দাবী সাঁকোটির স্থলে ব্রিজ নির্মাণ করা হোক।
হিতিমপুর গ্রামের বাসিন্দা কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রেজাউর রহমান বলেন, জনগনের এখন প্রানের স্বপ্নের দাবি এই সাঁকোটিকে ব্রিজে রুপান্তর করা হোক। তবে এ ব্রিজ অতিদ্রুত নির্মান না হলে ৪ গ্রামের জনগণের যাতায়াত যেমন হবে না নানা সমস্যার সম্মুখীন হবে তেমনি পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমার স্কুলের শিক্ষার্থী সহ আরো কৃষক।
এ বিষয়ে কাথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান রানা জানান, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর তৎকালীন সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। তিনি ব্রিজ নির্মানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। এরপর বর্তমান সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন এর সাথে কথা বললে তিনিও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ব্রিজ নির্মানের জন্য মাপ-যোগও করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্রিজটি কার্জকর হয়নি। এই দূর্ভোগ থেকে উত্তোণন পেতে এই ব্রিজ হওয়াটা খুব জরুরি এবং অপরিহার্য। তাহলে ৪ গ্রামের মানুষ অনেক উপকৃত এবং ভালোভাবে দিনযাপন করতে পারবে। এই বিষয়টি কার্যকর যত দ্রুত সম্ভব তা আবেদন করব।