গাংনী প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কোদালকাটি গ্রামে নিজের পৈত্রিক জমিতে থাকা বাশ কাটার সময়ে বাধা দিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন শফি উদ্দীন। লালন গংয়ের হামলায় সম্পতির মালিক বায়েজ উদ্দীনের ছেলে শফি উদ্দীন আহত হয়ে বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গত ২৫ তারিখ ঈদের দিনে কোদালকাটি গ্রামে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় পরদিন গাংনী থানায় লালন গংসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার কোদালকাটি গ্রামের বায়েজ উদ্দীনের ছেলে শফি উদ্দীনের পেত্রিক সম্পতিতে থাকা বাশবাগানের তিনটি বাশ কাটছিল মিজানুর রহমান লালনের লোকজন। এসময় বাশ কাটা নিয়ে লালন পক্ষ ও শফি পক্ষের মধ্যে বাক-বাতিন্ডা হয়।
পরে লালন গং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শফির বাড়িতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। মৃত ভেবে তাকে ফেলে গেলে পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে এঘটনার পর আহত শফি উদ্দীনের মেয়ে শাকিলা খাতুন বাদি হয়ে মিজানুর রহমান লালনসহ ৬ জনকে আসামী একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২২ তারিখ ২৬/০৫/২০২০ ইং। এদিকে বাদী শাকিলাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন আসামী পক্ষ। এব্যাপারে মিজানুর রহমান লালন জানান, বাইরে আছি এব্যাপারে এখন কথা বুলা সম্ভব নয়। পরে বিষয়টি নিয়ে বুজিয়ে বুলব।
এব্যাপারে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং এলাকায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়। আহতর মেয়ে শাকিলা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিলে আমরা মামলা হিসেবে গ্রহণ করি। আসামীরা পলাত্তক থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না।