নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চুয়াডাঙ্গার দুটি গোডাউনে চাল জব্দের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। এতে গাংনীর সরকারি চাল বিক্রয়ে কোন অনিয়ম হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তৌফিকুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের নিকট তাদের ৪৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সোমবার দুপুরে এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে দুটি বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রথমটি প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্প সভাপতিগনের প্রকল্প কমিটির সদস্যদের এবং স্থানীয় উপকারভোগীদের অবগত করার বিষয়ে সচেতনতার অভাব ছিলো। একারনে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়া বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী বরাদ্দকৃত চালের ৬০ ভাগ বিক্রয় করে নগদায়ন করার সুযোগ রয়েছে।
দ্বিতীয়টি , প্রকল্প সমূহ যেন সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন হয় এবং কোন অনিয়ম যেন না হয় এজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, ৩৭ টন (১২শ’৬৬ বস্তা) চাল বিক্রয়ে কোন অনিয়ন পাওয়া যায়নি। চাল মালিকদের কাছে চাল বুঝিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে চুয়াডাঙ্গা শহরের সাতগাড়ীর দুইটি গোডাউনকে ৩৭ টন (১২শ’৬৬ বস্তা) চাল সহ সিলগালা করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।